ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে,কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত জানুন
ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে,কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত জানুন এই আর্টিকেলে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে সফলকাম হতে চাচ্ছেন। সেই লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেকে আসতে চান। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ডিজিটাল মার্কেটিং এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কিন্তু তারা জানেন না যে ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি। ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে,কত প্রকার ও কি কি তা জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত জানুন
- ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে
- ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি
- বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন
- ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখবেন
- ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন
- ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন স্কিল শিখলে দ্রুত ইনকাম করা যায়
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কোথায় পাবেন
- ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরী
- লেখকের মন্তব্যঃডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে
ডিজিটাল মার্কেটিং মানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিপণন ব্যবস্থাকে
বুঝায়। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করে
কনজিউমারের কাছে পণ্যের জানান দেওয়ার এবং বিক্রয়ের একটি পদ্ধতি। মার্কেটিং
এর কাজ হল মানুষের নিকট পণ্য সঠিক সময়ে পৌঁছে দেয়া। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর
মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অর্থাৎ ইন্টারনেট,মোবাইল ফোন ইত্যাদির
মাধ্যমে ভোক্তার কাছে পণ্য বিক্রয়কে বোঝায়।
বিভিন্ন তথ্যসূত্র অনুযায়ী আমেরিকান একজন মার্কেটিং প্রফেসর ফিলিপ কোটলার তিনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনক। ১৯৮০ সালের দিকে তিনিই প্রথম এর সংজ্ঞা দেন। তার সংজ্ঞা অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং হল বিনিময় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোক্তার চাহিদা পূরণ এবং মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের কার্যকলাপ।
সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে অনলাইনে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করাকে বুঝায়। বর্তমানে মানুষ বেশিরভাগ সময় অনলাইনে কেনাকাটা করে থাকে। মার্কেটিংয়ের কাজ হল মানুষের নিকট পণ্য সঠিক সময় পৌঁছে দেয়া বা পণ্যের প্রচার ও প্রসার ঘটানো।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি
ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে সেটা হতে পারে সোশ্যাল
মিডিয়ার মাধ্যমে,সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে,সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের
মাধ্যমে আবার ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
ডিজিটাল মার্কেটিং বহু প্রকারের হয়ে থাকে। নিচে এগুলো ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হলো।
- এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হল সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া র মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকের রেজাল্টটা নিয়ে আসা যায় অর্থাৎ র্যাংক করানো যায়। অন্তর্ভুক্ত হলো এসিও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
- এস ই এম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংঃ এস ই এম বা সার্চ র্ইঞ্জিন মার্কেটিং হল সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে পেইড বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ট্রাফিক বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া। এটি পে-পার ক্লিক বিজ্ঞাপনের একটি প্রধান অংশ।
- কনটেন্ট মার্কেটিংঃ কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্লগ পোস্ট ভিডিও এবং ইনফোগ্রাফিক এর মত মূল্যবান এবং প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট তৈরি করা যায় এবং শেয়ার করা যায় এর মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা তৈরি করা সম্ভব হয়।
- এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোন ব্যক্তি বা সংস্থার মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবার প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে বিপণন করা এফিলিয়েট মার্কেটিং কে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংও বলা যায় জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করা হয়।
- ই মেইল মার্কেটিংঃ ইমেল মার্কেটিং হল গ্রাহকদের সাথে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা এর মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভিন্ন অফার এবং আপডেট জানানো হয়। নিউজ লেটার,প্রচারমূলক ইমেল এবং ব্যক্তিগত ব্যবহৃত ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখা হয়।
- ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিংঃই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা এস এম এমঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা এস এম এম এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা যায় ফেসবুক এবং এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিক্রয় বিপণন করা যায়।
- সি পি এ মার্কেটিংঃ সিপিএ মার্কেটিং এর পূর্ণরূপ হল কস্ট পার অ্যাকশন মার্কেটিং। এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতিটা অ্যাকশন কমপ্লিট হওয়ার পর পেমেন্ট পাওয়া যায়। ক্লাইন্টের কোন কাজ বা টাস্ক পূরণ করার মাধ্যমে অ্যাকশন কমপ্লিট করা বুঝায়।
- মোবাইল মার্কেটিংঃ মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছে পণ্যের বিপণন প্রক্রিয়া হল মোবাইল মার্কেটিং। এই প্রক্রিয়ায় অ্যাপ্লিকেশন,এসএমএস এবং মোবাইল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে মার্কেটিং করা হয়।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক এখন এবং ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনায় ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
তারা প্রফেশনাল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষ করে গড়ে
তুলতে সহায়তা করবেন ডিজিটাল মার্কেটিং কেবল একটি দক্ষতা নয় এটি ভবিষ্যতের চাকরি
এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য উপাদান সুতরাং সময় থাকতেই এক্ষেত্রটিতে
দক্ষতা অর্জন করে কাজ করা শুরু করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখবেন
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অত্যন্ত চাহিদা সম্পন্ন ক্ষেত্র হিসেবে
গড়ে উঠেছে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে ব্যবসা গুলো অনলাইনে আয়ের উন্নতি
বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে এটি শুধু বর্তমানে
নয় ভবিষ্যতে একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং ক্ষেত্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা এবং শুরু করার জন্য আপনাকে আগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর
বিভিন্ন শাখা এবং কৌশল সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল
বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
ভালো কোন প্রতিষ্ঠানের গুগল সার্টিফাইড কোন প্রশিক্ষকের কাছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। কারণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্কিল ডেভেলপ করা সম্ভব হয়ে ওঠে। ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে বেসিক বিষয়গুলো শেখা।
এরপর এস ই ও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিং দিয়ে শুরু করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেজগুলো অথবা একটি ব্লক তৈরি করুন এবং সেখানে নিজের শেখার বিষয়গুলো উপস্থাপন করুন। গুগল এডস বা ফেসবুক এডস চালানোর মাধ্যমে পেইড মার্কেটিং এর অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা ইন্টার্নশিপ শুরু করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক প্রস্তুতি এবং পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণের পর আপনাকে চ্যাটবটের ব্যবহার অটোমেটেড ক্যাম্পেন ম্যানেজমেন্ট ওয়ান্টেড ক্রিয়েশন এবং অপটিমাইজেশন প্রোডাক্টিভ এনালাইটিস সোশ্যাল কমার্সের উত্থান ই আই এবং অটোমেশনের সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সফলতা পেতে চাইলে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা
জরুরী ডিজিটাল মার্কেটিং হলেও বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে কৌশল ও দক্ষতার সমন্বয়ে
গঠিত একটি স্মার্ট ডিজিটাল বিপণন পদ্ধতি। ডিজিটাল মার্কেটিং করতে যে সকল জিনিসের
প্রয়োজন সেগুলো হল
- কম্পিউটার ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ
- ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারণা রাখা
- এসইও সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জ্ঞান থাকা
- পেপার ক্লিক সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা
- বিজ্ঞাপন তৈরি সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন
- ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে জানা
- কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কিত জ্ঞান
- ভিডিও মার্কেটিং সম্পর্কিত জ্ঞান
- ডেটা বিশ্লেষণ করার সক্ষমতা
- সময়ের সদ্যব্যবহার করা এবং ধৈর্য ধরা বা সবর করা।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বর্তমান যুগে ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরী এবং
জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত এটা শুধুমাত্র প্রচার-প্রচারণার খরচ কমায় তা নয়
বরং সঠিক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি করে দেয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর
মাধ্যমে খরচ কমানোর সুযোগ রয়েছে কম বাজেটে প্রচারণা করা যায়। ফ্রি
মার্কেটিং অপশনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অর্গানিক পোস্ট এবং কনটেন্ট
মার্কেট এর মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রচারণা চালানো সম্ভব হয়। ডিজিটাল
মার্কেটিং এর মাধ্যমে অতিরিক্ত খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় শুধুমাত্র টার্গেটেড
ক্যাম্পেইন সারানোর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে লাভের পরিমাণ বাড়ানো যায়
এলাকার বয়স বা আগ্রহের ভিত্তিতে গ্রাহকদের কাছে আপনার অন্য বা সেবা পৌঁছাতে
পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে তীব্র প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় অনলাইনে অসংখ্য ব্যবসা
তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করছে তাই আপনার ব্যবসা কে আলাদা করে তুলে ধরা কঠিন
হয়ে উঠতে পারে।
নেতিবাচক মন্তব্য বা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বা পর্যালোচনা করতে পারে যে
আপনার ব্র্যান্ডের সুনাম নষ্ট হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে
প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল ইন্টারনেট সংযোগ সফটওয়্যার বা হার্ডওয়ারের সমস্যা হলে
বিপণন কাজ ব্যাহত হতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার টুলস এবং দক্ষ কর্মীদের প্রয়োজন
এতে উচ্চ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।
পছন্দ এবং প্রযুক্তির পরিবর্তন খুব দ্রুত ঘটে তাই সে পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে
চলা খুব কঠিন হতে পারে।
অনলাইনে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার কারণে নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা
ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে তাই সাইবার আক্রমণ বা ডেটা লঙ্ঘনের
সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
অনলাইনে গ্রাহকদের মনোযোগের দৃষ্টি আকর্ষণের সময়টা খুব কম তাই অল্প সময়ের মধ্যে
তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কৌশল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা এবং কোনটি কার্যকর
তা বুঝতে সময় লাগে।
অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অ্যাড ব্লকের সফটওয়্যার ব্যবহার করে যার ফলে আপনার
অনলাইন বিজ্ঞাপন গুলো তাদের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে।
এই অসুবিধাগুলো থাকা সত্ত্বেও সঠিক পরিকল্পনা এবং কৌশল অবলম্বন করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভবপর হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল এবং ক্রমাগত পরিবর্তনশীল এখানে কিছু
মূল প্রবণতা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে বলা হল
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চালিত সরঞ্জাম গুলি ব্যক্তিগতকৃত মার্কেটিং ডাটা
বিশ্লেষণ এবং গ্রাহকদের আচরণ বোঝার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মার্কেটিং এর প্রচার অভিযানকে অপটিমাইজ করতে এবং আরো কার্যকর ফলাফল সরবরাহ করতে
সাহায্য করবে।
ব্যক্তিগতকরণ এবং গ্রাহকের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রকাশ করা হবে। গ্রাহকরা আরো
ব্যক্তিগতকৃত অভিজ্ঞতা আশা করে থাকে তাই মার্কেটিং কৌশল গুলি প্রতিটি ব্যক্তির
চাহিদা এবং পছন্দ অনুসারে তৈরি করা হবে। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার উপর
জোর দেওয়া হবে কারণ এটি ব্র্যান্ডের প্রচারপ্রসার এবং গ্রাহক ধরে রাখার জন্য
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিডিও মার্কেটিং এবং লাইভ স্ট্রিমিং আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। ভয়েস সার্চ এবং স্মার্ট স্পিকার এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।
অগমেন্ট রিয়েলিটি বা এআর এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা ভিআর এই প্রযুক্তি
গুলি মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে নতুন এবং আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করবে
এবং পণ্য প্রদর্শনের ক্ষেত্রে যা গ্রাহকদের পণ্য গুলি ভার্চুয়ালি দেখানোর এবং
বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিবে।
ডেটা গোপনীয়তা এবং নৈতিক মার্কেটিং আরো কঠোর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে
গ্রাহকের কালেক্ট করা ডেটা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখা ব্রান্ডের বিশ্বাসের জন্য
অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে সরাসরি কেনাবেচার সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে
লাইভ শপিং এবং ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর মাধ্যমে সোশ্যাল প্লাটফর্ম থেকে
সরাসরি পণ্য বিপন্ন করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ গতিশীল এবং ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে। তাই মার্কেটে
সর্বদা নতুন প্রযুক্তি এবং প্রবণতা সম্পর্কে অবহিত থাকা এবং তাদের কৌশল গুলি সে
অনুযায়ী অভিযোজিত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন স্কিল শিখলে দ্রুত ইনকাম করা যায়
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কোন কোন স্কেল শিখলে দ্রুত ইনকাম করা যায় আর্টিকেলে আমরা
তা আলোচনা করব। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি দক্ষতা যা দ্বারা দ্রুত আয় করা
সম্ভব এখানে কিছু মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতার উদাহরণ দেয়া হলো যা
আপনাকে দ্রুত আয় করতে সহায়তা করতে পারেঃ
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম এর মত প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচার করা এবং গ্রাহকদের সাথে যুক্ত হওয়ার একটি মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এটি হলো ওয়েবসাইট কে গুগল সার্চের প্রথম দিকে নিয়ে
আসা যাতে করে বেশি মানুষ ওয়েবসাইটটি দেখতে পায় এবং ভিজিট করে এবং রেংকিং এর
মাধ্যমে করা সম্ভব কন্টেন মার্কেটিং আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ কনটেনট তৈরি
করে গ্রাহকদের আকর্ষণ করা যায়। ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্য অথবা সেবা
প্রচার ও প্রসার করার মাধ্যমে বিপণন করা সম্ভব হয়।
একটি বিশেষ দক্ষতা নির্বাচন করুন সব মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা শেখার চেষ্টা করে নিজের দক্ষতা বিশেষজ্ঞ হন প্র্যাকটিসে তৈরি করুন বাস্তব জীবনে কাজ করে বিখ্যাত অর্জন করুন এবং আপনার কাজের নমুনা সংগ্রহ করুন নেটওয়ার্কিং তৈরি করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে জগত ক্রমাগত পরিবর্তনশীল তাই নতুন কৌশল এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে শিখতে থাকুন এবং নিজেকে আপডেট রাখুন আর মনে রাখতে হবে দ্রুত আয়ের জন্য পরিশ্রম এবং ধৈর্য অবশ্যই প্রয়োজন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কোথায় পাবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ আপনি বিভিন্ন জায়গায় পেতে পারেন। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে রয়েছে আপওয়ার্ক,ফাইভার,ফ্রিল্যান্সার ডট কম,পিপল পার আওয়ার, গুরু ইত্যাদি। এই প্লাটফর্মগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ পাওয়া যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে রয়েছে লিংকডিন এবং বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ । লিংকটিন এ বিভিন্ন কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কর্মী খুঁজে থাকে ফেসবুকে অনেক ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের গ্রুপ আছে যেখানে নিয়মিত কাজের সন্ধান পাওয়া যায়। বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইটে ক্যারিয়ার বা চাকরি বিভাগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাকরি খোঁজ করা যেতে পারে।
বিভিন্ন জব পোর্টাল যেমনঃ বিডি জবস, জাগো জবস ইন্ডিড ইত্যাদি তে কাজ পাওয়া
যায়। বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিতে ইন্টার্নশীপ বা চাকরির জন্য আবেদন
করতে পারেন। নিজের নেটওয়ার্ক তৈরি করে আপনার পরিচিত লোকজন বন্ধু বান্ধবের
মাধ্যমে কাজের খোঁজ পেতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করা জরুরি।
এগুলো হল এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,পেইড এডভারটাইজিং,কনটেন্ট
মার্কেটিং,ইমেইল মার্কেটিং এবং অ্যানালিটিক্স।
ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরী
ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থাকা জরুরী। কারণ এগুলি আপনার ব্র্যান্ডের প্রচার ও প্রসার বাড়াতে এবং গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে সহায়তা করে থাকে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং একাউন্ট রয়েছে যা আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য যে সকল সোশ্যাল মিডিয়াকাউন্ট থাকা জরুরী সেগুলো হলঃ
ফেসবুক একটি বহুমুখী প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকলে বিজ্ঞাপন প্রচার গ্রুপ
তৈরি এবং গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য এটি একটা দুর্দান্ত মাধ্যম
হিসেবে কাজ করে।
ইনস্টাগ্রাম একটি ভিজুয়াল প্লাটফর্ম যা পণ্য প্রদর্শন এবং ব্র্যান্ডের নান্দনিকতা তৈরি করার জন্য একটি আদর্শ হিসেবে কাজ করে। তাই ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট করা থাকলে এটি তরুণ দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয় এবং ইনফ্লোয়েনসার মার্কেটিং এর জন্য খুব কার্যকর হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকে।
লিংকডিন একটি পেশাদার নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম যা বি টু বি মার্কেটিং এবং নিয়োগের জন্য অপরিহার্য হিসেবে কাজ করে থাকে।
টুইটার হল রিয়াল টাইম যোগাযোগ সংবাদ আপডেটের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম। যা কথোপকথনের জন্য এবং সময় উপযোগী তথ্য শেয়ার করার জন্য উপযুক্ত মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এটি দ্রুত ম্যাসেজিং করতে এবং গ্রাহক পরিসেবার জন্য খুব উপযুক্ত। তাই টুইটার অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার।
ইউটিউব একাউন্ট ভিডিও মার্কেটিং এর জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম এতে পন্যপ্রদর্শন টিউটোরিয়াল এবং ব্র্যান্ডের গল্প বলার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভিজুয়াল আবিষ্কারের জন্য পিন্টারেস্ট একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। এটি বিশেষত ই-কমার্স এবং সৃজনশীল ব্যবসার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখে।
টিকটক একটি সংক্ষিপ্ত বা সর্ট ফর্ম ভিডিও প্ল্যাটফর্ম।যা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি সৃজনশীল সামগ্রী এবং ভাইরাল মার্কেটিং এর জন্য উপযুক্ত হিসেবে কাজ করে।
আপনার ব্যবসার লক্ষ্য এবং দর্শকদের উপর নির্ভর করে আপনি প্লাটফর্ম গুলির মধ্যে কয়েকটি বা সবগুলোই ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপনের উপায় রয়েছে। তাই আপনার ব্যবসার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম গুলি বেছে নেয়া খুবই জরুরী।
লেখকের মন্তব্যঃডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি ভবিষ্যতে আপনার ব্যবসাকে সবল হিসেবে দেখতে চান তবে নিজেকে এবং নিজের
ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় নিয়ে এসে কৃতার সামনে আকর্ষণীয় ভাবে
নিজের পণ্যকে উপস্থাপন করার মাধ্যমে পণ্য বিপণন করার এখনই সময় ডিজিটাল মার্কেটিং
শিখে রাখাটা এখন সময়ের দাবি আপনি যদি ধৈর্যের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে
নিতে পারেন তাহলে ধরে নিবেন আপনি ভবিষ্যতের জন্য একেবারে প্রস্তুত তবে ব্যাপারটা
বলা সহজ কিন্তু করা খুবই কঠিন।
অনেক সময় নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করে অনেক কিছু বোঝার মাধ্যমে নিজেকে স্কিলড
ডেভেলপ করার মাধ্যমে আপনার নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে। তাই
ভালো মেন্টরের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল মার্কেটিং করছে ভর্তি হয়ে ট্রেনিং নিয়ে
নিজেকে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে নিতে হবে।
এই আর্টিকেল লিখার উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়া
এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানানো। আশা করি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং
সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে দক্ষ হয়ে
নিজেদের ব্যবসাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url