ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম এই আর্টিকেলটিতে বিষন্নতা সমস্যার সমাধানের  ইসলামিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। দুশ্চিন্তা একটি মানসিক রোগ।  এ রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না করলে রোগটিতে মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম

ডিপ্রেশনের করুণ পরিণতি হলো অকালমৃত্যু। ডিপ্রেশনের কারণ, লক্ষণ,প্রতিকার,ঘরোয়া উপায় ও ইসলামিক ট্রিটমেন্ট গুলো নিয়ে আর্টিকেলটিতে লেখা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

সূচিপত্রঃডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

  • ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম
  • ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে ইসলামের দিক নির্দেশনা
  • ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে যেসব আমল করবেন
  • ডিপ্রেশনে থাকলে কোন দোয়া পড়তে হয়
  • মানুষ কেন ডিপ্রেশনে ভোগে
  • ডিপ্রেশনের লক্ষণ বা উপসর্গ
  • ডিপ্রেশন থেকে কি কি রোগ হতে পারে
  • ডিপ্রেশন মুক্ত থাকার উপায়
  • ডিপ্রেশন দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • লেখকের  মন্তব্যঃডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম বলে দেয়। ইসলাম ধর্মে ডিপ্রেশন বা দুশ্চিন্তা রোগ থেকে মুক্তির সুন্দর সুন্দর উপায় বলে দেয়া রয়েছে। মুসলিম পরিবারগুলোতে পারিবারিক বন্ধন অটুট থাকে। ফলে ডিপ্রেশনে পড়ার ঝুঁকি কম থাকে। তবে মানুষের জীবনে সবসময় সুখ থাকেনা। কথায় আছে লাইফ ইজ নট এ বেড অফ রোজেস। অর্থাৎ মানুষের জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয়। আর আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুঃখ-কষ্টে নিপতিত করে পরীক্ষা করেন,কে তার  মুমিন বান্দা। ধৈর্যশীলরাই সফলকাম হয়।

 ইসলামী অনুশাসনে জীবন গড়লে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।একটি মুসলিম পরিবারে সবার     সকাল শুরু হয় ফজরের নামাজ দিয়ে। নামাজে প্রার্থনা করা হয়, আল্লাহর কাছে ভালো কিছু চাওয়া হয়, মনের কষ্টগুলো আল্লাহর কাছে বলা যায়। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ পড়া ,সময় মত খাবার খাওয়া,অজু ও গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা,রমজান মাসে রোজা রাখা, সদকা বা দান করা, সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা ইত্যাদি নিয়ম মেনে চললে অন্তরের প্রশান্তি মিলে।   

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম কি বলে তা জেনে নিই। নিচে এগুলোর বর্ণনা দেয়া হলোঃ

  • সবর করা বা ধৈর্য ধরাঃইসলামে সবর করা বা ধৈর্য ধরার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন- ইন্নাল্লাহা মাআস সবিরিন। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন। কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে সবর করা বা ধৈর্য ধরা উচিত।                                                                           
  • তাকদিরে বিশ্বাস করাঃ সব সময় তাকদিরে বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহ যা করেন তা ভালোর জন্যই করেন এবং যা কিছু ঘটছে তা তাকদিরে আছে এটা মেনে নিতে হবে। 
  • বিপদে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করাঃ বিপদে পড়লে আল্লাহতালাকে বেশি বেশি স্মরণ করতে হবে দোয়া করতে হবে যেন বিপদ কেটে যায়।
  • সুধারণা পোষণ ও সুচিন্তার পরিস্ফুটন করাঃ জীবনে যা কিছু ঘটুক না কেনো  সব কিছুর বিষয়ে সুধারণা পোষণ এবং সুচিন্তার পরিস্ফুটন করতে হবে। সব সময় ইতিবাচক দিক বিবেচনা করতে হবে অর্থাৎ  নেতিবাচক দিক বর্জন করতে হবে। 
  •  বেশি বেশি ইস্তেগফার করাঃ বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে তাহলে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
  • দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করাঃ দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার দোয়া পড়তে হবে।দোয়াটি হলো- ইয়া  হাইয়ু,ইয়া কাইয়ু্ম, বি রহমাতিকা আস্তাগিছ। 
  • পারিবারিক কলহ থেকে দূরে থাকাঃপারিবারিক কলহ থেকে দূরে থাকতে হবে। পারিবারিক মেলবন্ধন তৈরি করতে হবে। 
  • নিজেকে বেশি বেশি সময় দেয়া বা নিজের যত্ন নেয়াঃ নিজেকে বেশি বেশি সময় দিতে হবে।  নিজের যত্ন নিতে হবে। ডিপ্রেশন বা দুশ্চিন্তায় পড়লে অনেক সময় মানুষ শয়তানের ধোকায় পড়ে আত্মহত্যার মতো পাপের পথে ধাবিত হয়। এমন গর্হিত কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে,নিজের যত্ন নিজেকে নিতে হবে। 
  • অতিরিক্ত কাজের দায়িত্ব নেয়া থেকে বিরত থাকাঃ অতিরিক্ত কাজের দায়িত্ব নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।আল্লাহতায়ালা কাউকে তার অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করুন,অতিরিক্ত কাজ নিবেন না। 
  • বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করাঃ বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।আল্লাহর জিকির করলে মন ভালো থাকে,ইবাদতে মশগুল হওয়া যায়। 
  • বেশি পরিমাণে সদকা করাঃবেশি পরিমাণে সদকা করতে হবে।কারণ সদকা করলে বিপদ কেটে যায়। 
  • ইসলামের বিধানগুলো সঠিক ভাবে মেনে চলাঃইসলামের বিধানগুলো সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে।নিয়মিত ভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা, সাওম পালন করা,যাকাত আদায় করা সহ ইসলামের অন্যান্য অনুশাসন গুলো মেনে চলতে হবে।তাহলে শরীর ও মন ভালো থাকবে এবং ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি মিলবে ইনশাআল্লাহ।  

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে ইসলামের দিক নির্দেশনা

 ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে ইসলামের দিক নির্দেশনা রয়েছে। মানুষ যখন ডিপ্রেশনে ভোগে অর্থাৎ মানুষের চাপের সম্মুখীন হওয়ায় তখন তার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে মানুষের আচার-ব্যবহারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যেমন- খিটখিটে মেজাজ, অনিদ্রা, মাথা ব্যথা, বুক ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা  হতে দেখা যায়।

বিভিন্ন রকম সমস্যায়  জর্জরিত হয়ে মানুষ যখন অন্ধকারে হারিয়ে যেতে থাকে তখন আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। আল্লাহর প্রতি ভরসা করা ও কুরআনের আলোয় মানুষের সত্যিকারের সান্তনার উৎস হিসেবে কাজ করে। দোয়ার মাধ্যমে সান্তনা ও আল্লাহর রহমতে অনুভূতি পাওয়া যায় এবং মানুষের মনে প্রশান্তি আসে। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে ইসলামের দিক নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে যে এক আল্লাহর উপর ও আখেরাতের উপর ঈমান আনবে এবং সৎ কাজ করবে নিঃসন্দেহে তার কোন ভয় নেই। আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর উপায় হল দোয়া ও সালাত। কোরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহ তোমাদের ক্লেশ দিলে তিনি ছাড়া তা  বিমোচনকারী আর কেউ নেই। আর আল্লাহ যদি তোমার মঙ্গল চান তবে তার অনুগ্রহ রদ করার কেউ নেই(সূরা ইউনুস আয়াত ১০৭)। 

কুরআনে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে( সূরা ইনশিরাহ-আয়াত ৬)। তাই আমাদের কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী জীবন যাপন করা উচিত। তবে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি মিলবে ইনশাআল্লাহ । 

ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে যেসব আমল করবেন

ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে যেসব আমল করবেন তা  বর্ণনা করা হয়েছে। ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে যেসব আমল করা যায় তার মধ্যে হল প্রথম আমল বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা । দ্বিতীয়টি হল আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকা, তৃতীয়টি হল ইস্তেগফার পাঠ করা, চতুর্থ হল সদকা করা, পঞ্চম হল সালাতুল হাজত নামাজ পড়া ,ষষ্ঠ আমল হলো বেশি বেশি দোয়া করা , সপ্তম আমল হচ্ছে মানুষের কাছে বেশি বেশি দোয়া চাওয়া বা পরামর্শ চাওয়া, অষ্টম আমল হচ্ছে বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করা।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম

দরুদ পাঠ করা আল্লাহ তায়ালা রহমত প্রাপ্তির বিশাল মাধ্যম অন্ত অন্তরে প্রশান্তি লাভের জন্য এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য বেশি বেশি দরুদ শরীফ পড়তে হবে। উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেন, তোমার পেরেশানি দূর করার জন্য দরুদ শরীফ পড়া যথেষ্ট এবং তোমার পাপের কাফফারা করার জন্য দরুদ শরীফই  যথেষ্ট। (জামে তিরমিজি ২৪৫৭)

আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর উপায় হল দোয়া এবং সালাত কুরআনে বর্ণিত আছে, একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জিকিরের মাধ্যমেই অন্তরের প্রশান্তি লাভ হয়।আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকতে হবে অর্থাৎবেশি বেশি আল্লাহর জিকির করতে হবে।কোরআনে বর্ণিত আছে,আল্লাহ তায়ালা বলেন,বেশি বেশি আল্লাহর জিকিরের দ্বারা মুমিনের অন্তর প্রশান্ত হয়।(সুরা-রদ)

বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে। ইস্তেগফার পাঠের মাধ্যমে বিপদ আপদ দূর হয়। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার পাঠ করব, আল্লাহতায়ালা তাকে সব বিপদ আপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন , সব দুশ্চিন্তা দূর করে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।(সুনানে আবু দাউদ-১৫২০)

বেশি বেশি সদকা করলে অর্থাৎ দান-খয়রাত করলে আল্লাহতায়ালা বিপদ-আপদ মুক্ত রাখেন।হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল সাঃ বলেছেন,নিশ্চয়ই গোপন সদকা আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে-তাবারানী ১০১৮। সদকা করলে পাপের কাফফার দেয়া হয়, মাল সম্পদের বরকত হয় , ভয়ংকর মৃত্যু ও বিপদ-আপদ থেকে আল্লাহ হেফাজত করেন এবং আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া লাভ করা যায় ও জান্নাতে বিশেষ দরজা দিয়ে প্রবেশ করা যায়।(সহিহ বুখারি- ১৪০৫, ১৪৪২, ৬৬৪ , ১৪২৩ ,১৮৯৭)  

সালাতুল হাজত নামাজ বা নফল নামাজ পড়লে আল্লাহ তায়ালা বিপদ কাটিয়ে দেন। সূরা বাকারার ১৫৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাও। এই আয়াতের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে কোন বিপদ-আপদে পড়লে সালাতুল হাজত নামাজ বা নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ বিপদ আপদ দূর করে দিবেন।

হাদিসে আছে, হযরত হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম যখন কোন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতেন তখনই তিনি বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতেন। সুনানে আবু দাউদ ১৩১৯ 

ডিপ্রেশনে পড়লে মানুষের কাছে বেশি বেশি দোয়া চাওয়া এবং তাদের কাছে সৎ পরামর্শ চাওয়া উচিত। মানুষ যখন মানসিক চাপের সম্মুখীন হয় তখন তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তার ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবনে। আধুনিক চিকিৎসকেরা  মানসিক কষ্ট বা মর্ম কষ্ট দূর করার জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ গুলোকে ব্যক্তি মনের দৃঢ়ভাবে ধারণ করার জন্য বা তাদের জীবনের ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকপাত করার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

যে যত বেশি ধর্মভীরু হয় সে ততো বেশি মানসিক চাপমুক্ত থাকতে পারে কারণ তার আল্লাহর উপর আস্থা বেশি হয় এবং সে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যদি তাদের অর্থাৎ মুমিনদের সামনে কোন বিপদ এসে হাজির হয়, তখনই তারা বলে আমরা তো আল্লাহর জন্যই সবকিছু করি এবং আমাদেরকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে একদিন। সূরা বাকারা ১৫৬ নাম্বার আয়াত

বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করা উচিত। কোন বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করলে মনে অনেক আনন্দ পাওয়া যায় ,দোয়া পাওয়া যায়। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজে যেমন অন্যের সাহায্য নিতে হবে যাও তেমনি অন্য কে সাহায্য করতে হবে। কুরআন মাজীদে এরশাদ হয়েছে আল্লাহ তাআলা বলেন, নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কষ্ট ও ক্লেশের মধ্যে। সূরা বালাদ আয়াত-৪

বিপদে ধৈর্য ধারণ করে ও আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে এবং দৃঢ় প্রত্যয়ে সকল বিপদ আপদ মোকাবিলা করা শিখতে হবে।

আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। মানসিক চাপ কমাতে চাইলে নিয়মিত বেশি বেশি করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করা উচিত কারণ দোয়া হলো ইবাদতের মূল এবং দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন না করলে সন্তুষ্ট হন প্রসেস সালাম বলেন আমি এমন একটি দোয়া সম্পর্কে অবহিত আছি যা কোন বিপদগ্রস্ত লোক পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা তার সেই বিপদ দূর করে দিবেন সেটি হচ্ছে, আমার ভাই নবী ইউনুস আঃ এর দোয়া।

দোয়াটি হলঃলা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জলিমিন।  দোয়াটির অর্থ হলঃহে আল্লাহ, তুমি ছাড়া কোন মালিক নেই , আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি , নিঃসন্দেহে আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি। তিরমিজি শরীফ ৩৫০৫

ডিপ্রেশনে থাকলে কোন দোয়া পড়তে হয়

ডিপ্রেশনে থাকলে কোন দোয়া পড়তে হয় তা জানতে চান নিশ্চয়।তাহলে পড়ে নিন নিচের দোয়াটি। দোয়া হলো ইবাদতের মগজ অর্থাৎ দোয়ার কোন বিকল্প নেই। চিন্তা এবং পেরেশানির সময় রাসূল সাঃ একটি দোয়া পড়তেন এবং অন্যদের এ দোয়া পড়ার জন্য উৎসাহিত করতেন।

 দোয়াটি হলঃ "আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল হাম্মী ওয়াল হুজনি,ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাছাল,ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি,ওয়া আউযুবিকা মিন গলাবাতিদ দাঈনী ওয়া ক্কহরির রিজাল"। 

অর্থঃ ইয়া আল্লাহ,আমি আপনার কাছে দুঃখ কষ্ট , দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে , ঋণের ভার ও মানুষের দমন পিড়ন থেকে আশ্রয় চাই। বুখারী ২৮৯৩

এছাড়াও পবিত্র কোরআনে বর্ণিত সূরা আদ দুহা এবং সূরা আল ইনশিরাহ পড়লে আল্লাহ তায়ালা দুশ্চিন্তা বা ডিপ্রেশন দূর করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। 

সূরা আদ দুহা এর অর্থঃ

  • ১। শপথ আলোক উজ্জ্বল মধ্য দিনের,
  • ২। শপথ রাতের অন্ধকারের, যখন তা চারদিকে ছেয়ে যায়,
  • ৩। আপনার মালিক( ওহীর সাময়িক বিরতিতে) আপনাকে পরিত্যাগ করে চলে যাননি এবং তিনি আপনার ওপর অসন্তুষ্টও হননি;
  • ৪। অবশ্যই আপনার পরবর্তীকাল আগের চেয়ে উত্তম;
  • ৫। অল্পদিনের মধ্যেই আপনার মালিক আপনাকে এমন কিছু দিবেন যে আপনি এতে খুশি হয়ে যাবেন;
  • ৬। তিনি কি আপনাকে এতিম অবস্থায় পাননিএবং অতঃপর তিনি আপনাকে আশ্রয় দেননি?
  • ৭। তিনি আপনাকে পান পথহারা, অতঃপর পথ নির্দেশ করেন,
  • ৮। তিনি আপনাকে পান নিঃস্ব অবস্থায়, অতঃপর অভাবমুক্ত করেন।
  • ৯। সুতরাং আপনি এতিমের প্রতি রুঢ় হবেন না।
  • ১০। এবং সাহায্যপ্রার্থীকে ভৎসনা করবেন না;
  • ১১। সুতরাং আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন।

সূরা আল ইনশিরাহ এর অর্থঃ

  • ১। আমি কি জ্ঞান ধারণের জন্য আপনার বক্ষ প্রশস্ত করে দেইনি? 
  • ২। অতঃপর আমি লাঘব করেছি আপনার ভার,
  • ৩। যা আপনার জন্য ছিল অতিশয় কষ্টদায়ক;
  • ৪। এবং আমি আপনার আলোচনাকে সমুন্নত করেছি।
  • ৫। নিশ্চয় কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে,
  • ৬।নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে।
  • ৭। অতএব যখন অবসর পাবেন তখনই আপনি এবাদতের পরিশ্রমে লেগে যাবেন,
  • ৮। এবং আপনার রবের প্রতি মনোনিবেশ করুন। 

শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহাসংকটের সময় আল্লাহ তায়ালা তাকে এ দুইটি সূরা উপহার দেন। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর প্রিয় দুটি সুরা আমরা যদি আমল করি তবে আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রতি রহম করবেন এবং ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাবো ইনশাআল্লাহ।

মানুষ কেন ডিপ্রেশনে ভোগে

মানুষ কেন ডিপ্রেশনে ভোগে নিশ্চয়ই এই প্রশ্ন মনে উদয় হয়েছে আপনার তাইনা? তাহলে জেনে নিন তার উত্তর-যখন কোন মানুষের জীবন স্বাভাবিক ভাবে থাকে না তখন মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।অর্থাৎ যখন কোন মানুষের মনের উপর অনেক চাপ পড়ে,নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে,অসহায় লাগে,পারিপার্শ্বিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে,নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না তখনি মানুষ ডিপ্রেশনে ভোগে।

ডিপ্রেশনের লক্ষণ বা উপসর্গ

ডিপ্রেশন এর লক্ষণ বা উপসর্গ গুলো সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। ডিপ্রেশনের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো নিচে দেয়া হলোঃ দেহে ক্লান্তিভাব বা শক্তিহীন অনুভূত হওয়া,কাজে অমনোযোগী ভাব,সব সময় অস্থিরতা দেখা দেওয়া,যে কোন কাজ করার সময় অসুবিধা বোধ করা,ক্ষুধামন্দা বা খাবারে অরুচি হওয়া, অনিদ্রা বা ঘুম না হওয়া ,বুক ব্যথা অনুভূত হওয়া, মাথা ব্যথা হওয়া ইত্যাদি।

 ডিপ্রেশন থেকে কি কি রোগ হতে পারে

ডিপ্রেশন থেকে কি কি রোগ হতে পারে তা জানাটাও জরুরী। ডিপ্রেশন থেকে যেসব রোগ হতে পারে তা হলো- অনিদ্রা, দুর্বলতা,পেটের পীড়া, শিরঃপীড়া, হাত-পা জ্বালাপোড়া করা, হাত-পা অবশ হয়ে আসা, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হওয়া, হার্ট অ্যাটাক বা প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে,হার্টবিট বেড়ে যাওয়া বা প্যালপিটিশন,লুজ মোশন, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি।  

ডিপ্রেশন মুক্ত থাকার উপায়

ডিপ্রেশন মুক্ত থাকার উপায় অনেক। উপায় গুলো সম্পর্কে জানানো হলোঃ সব সময় নিজের জন্য বাঁচতে শিখুন। আগামীর চিন্তা  আল্লাহর উপর ন্যাস্ত করুন। অতিরিক্ত লোভ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। অন্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। নিজের কাজ ভালোভাবে করার চেষ্টা করুন। জীবনে যত বিপদ বা সমস্যাই আসুক না কেন তা সহজ ভাবে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন নির্জনে একাকী বসে কিছু মুহূর্ত কাটাতে হবে।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম

মনীষী ব্যাক্তির বা ভালো মানুষদের জীবনী পড়তে হবে। মন প্রফুল্ল হয় এমন কাজগুলো বেশি বেশি  করতে হবে। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট খালি পায়ে মাটিতে হাঁটতে হবে। হাঁটলে সেরোটোনিন হরমোন ক্ষরণ হয় যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে ইসলামিক জীবন বিধান গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চললে ডিপ্রেশন মুক্ত থাকা যায় শতভাগ ।   

ডিপ্রেশন দূর করার ঘরোয়া উপায়

ডিপ্রেশন দূর করার ঘরোয়া উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। প্রতিটি মানুষের জন্য একটি পরিবার হল মানুষের শান্তি মত বেঁচে থাকার উৎস। মানুষকে জীবনের পরতে পরতে দুঃখ কষ্টে নিপতিত হতে হয়। এসব কষ্টগুলোকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে হবে এবং তার মোকাবেলা করতে হবে।

বেশি প্রেসার নিয়ে ডিপ্রেশন বা বেশি দুশ্চিন্তা করা যাবে না। সব সময় সকল পরিস্থিতি মানুষের অনুকূলে থাকে না।  প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে খারাপ খাইয়ে নেয়া শিখতে হবে।

 প্রতিদিনের কাজের  রুটিন তৈরি করতে হবে এবং রুটিন মাফিক পর্যায়ক্রমে কাজগুলো করতে হবে। লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করতে হবে অর্থাৎ আপনার কাজের উদ্দেশ্য সঠিক হতে হবে।

ভালো কাজে বেশি বেশি অংশগ্রহণ করতে হবে,যেমন-গরিবদের মাঝে সদকা করা। 

অবসর সময়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে পারিবারিকভাবে আনন্দ ভ্রমণে বের হওয়া।

সঠিক সময়ে এবং পরিমিতভাবে আহার গ্রহণ করা। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। সুনিদ্রা আনয়নে মনোযোগী হওয়া,সময়মতো ঘুমাতে হবে, শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে অথবা সকালে ও বিকেলে ত্রিশ মিনিট হাটাহাটি করতে হবে বা সাঁতার কাটতে হবে।

যেসব খাবার খেলে ডিপ্রেশন কমে সেই সব খাবারগুলো  পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে। ডিপ্রেশন কমাতে পুষ্টিক র খাবার বিশেষ ভূমিকা রাখে। পুষ্টিকর খাবার গুলো হলোঃগাজর,টার্কি মুরগি,সবুজ শাক,বাদাম, স্যামন মাছ,কালিজিরা,মধু,দুধ,পাকা কলা, লাউ ইত্যাদি।

বক্স ব্রেথিং ব্যায়াম অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে।ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে শান্ত ভাবে বসে আস্তে আস্তে শ্বাস নিতে হবে,বুক ভরে শ্বাস নেয়ার পর ৪ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখতে হবে।এবার আস্তে আস্তে প্রশ্বাস ছাড়তে হবে।মনে মনে ১থেকে ৪পর্যন্ত গুণতে হবে। আবার ৪ সেকেন্ড পর পুনরায় শ্বাস নিতে হবে।

আবার পূর্বের মতো ৪ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রেখে ৪ সেকেন্ড পর প্রশ্বাস ছাড়তে হবে।এভাবে ৪ সেকেন্ড করে বিরতি নিয়ে ৪বার এই ব্যায়াম করতে হবে। এই  ব্যায়াম করলে হার্ট ভালো থাকে এবং ব্রেনের রেস্ট হয় ফলে মন ভালো থাকে এবং ডিপ্রেশন দূর হয়। এই ব্যায়ামটি করার জন্য ফিজিশিয়ানরা সাজেস্ট করেন।     

আরেকটি ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট হল-পঞ্চোইন্দ্রিয়ের ব্যায়াম করা। পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার করা হলোঃ চোখ দিয়ে দেখা, নাক দিয়ে ঘ্রাণ নেয়া,কান দিয়ে শোনা,হাত দিয়ে স্পর্শ করা,জিহবা দিয়ে স্বাদ নেয়া।

আপনার আশেপাশের জিনিসগুলোকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা,সে জিনিসগুলোর নাম মনে করা,স্পর্শ করে সেগুলো অনুভব করা,কোন কিছুর ঘ্রাণ নেয়া,কোন কিছুর স্বাদ নেয়া বা খাওয়া,কোন কিছুর শব্দ শুনে সেটা অনুমান করা সেটা কিসের শব্দ এভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে ডিপ্রেশন কমে এবং এর দ্বারা সৃষ্ট প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। 

হেলদি লিভিং প্র্যাক্টিস করতে হবে। শারীরিক ব্যায়াম যেমন-হাঁটা বা সাইকেল চালানো এবং মানসিক ব্যায়াম যেমন- ইয়োগা বা মেডিটেশন করা বা বক্স ব্রেথিং ব্যায়াম করতে হবে। ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন- কফি, এনার্জি ড্রিংকস, চা ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

সাপোর্ট গ্রুপের সাথে জয়েন থাকতে হবে অর্থাৎ ডিপ্রেশন আছে এমন অন্যান্য রোগীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে একে অপরকে সাপোর্ট করতে হবে। টেনশনে আছে বা কষ্টে আছে এমন মানুষগুলোর সাথে কথাগুলো শেয়ার করতে হবে। অন্যের কষ্টগুলো দেখলে নিজের কষ্টগুলোকে হালকা বলে মনে হবে।

কষ্টে থাকা মানুষগুলো আপনার কষ্টের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং পরস্পর পরস্পরের কাছ থেকে সমব্যথী বা সহানুভূতিশীল হয়ে একে অপরকে সাপোর্ট দিবে। এতে মানসিক প্রশান্তি মিলবে।এভাবে ভালো কাজের সাথে যুক্ত থাকলে এবং হেল্পিং মেন্টালিটি থাকলে অক্সিটোসিন হরমোন ও এন্ড্রোরফিন হরমোন ক্ষরণ হয় যা হার্টের উপকার করে এবং হার্ট ভালো রাখে। যে কারণে টেনশন হয় তার কারণ জেনে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।  

লেখকের  মন্তব্যঃডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম এই আর্টিকেলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ইসলামিক উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা ব্যক্তিত্ব রয়েছে। আবার প্রতিটি মানুষ জীবনে কিছু না কিছু বিপদ-আপদের সম্মুখীন হয়।

কেউ সাহসের সাথে তা  মোকাবেলা করে, আবার কেউ তা মোকাবিলা করার সাহস না পেয়ে অতিরিক্ত টেনশন করে ডিপ্রেশনের মত সমস্যায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলে।ফলে ডিপ্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়, এটা হচ্ছে ক্রমাগত   ডিপ্রেশন ডিজঅর্ডার বা  এটা ক্রমাগত বিষন্নতা জনিত রোগ।

যদি সময় মত ডিপ্রেশন রোগের চিকিৎসা না করা হয় তবে রোগীর  প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকে। এই ডিপ্রেশনের কারণে অনেকে আত্মহত্যা করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। তাই মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের ইসলাম যা বলে তা মেনে চলা উচিত। প্রতিটি জীবন মূল্যবান তাই  অবহেলায় কোন প্রাণ যেন নষ্ট না হয়। যদি কেউ মেজর ডিপ্রেশন ডিজঅর্ডারে ভোগে তবে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url