ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় আপনি কি জানতে চান? তাহলে আর্টিকেলটি পড়ুন।ফ্রিল্যান্সিং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মুক্তপেশা হওয়ার কারণে এটি জনপ্রিয়।

- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
- ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য
- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন
- ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম
- জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ
- ফ্রিল্যান্সিং টিপস
- অন্যান্য টিপস
- ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা
- ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা
- লেখকের শেষ কথা
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় অনেকের মনে এই প্রশ্ন দেখা দেয়।এই সব কিছুর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হল।ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় পেশা।অনলাইন ইনকাম বলতে সবাই ফ্রিল্যান্সিং কে বুঝে।এই কাজ করার জন্য একটি ভালোমানের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ, একটি ভালো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকা আবশ্যক।
ফ্রিলান্সিং এর কাজ করতে হলে প্রথমে আপনাকে হাইলি স্কিলড হতে হবে। আর তাই ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং নিয়ে দক্ষ হতে হবে। এরপর মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। কোন সাইটে কাজ পাওয়া যায় তা খুঁজে বের করতে হবে। বায়ারদের সাথে কমিউনিকেটিং করার যোগ্যতা থাকতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বেশ কয়েক ধরনের কাজ পাওয়া যায়।সেই কাজগুলো সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনি সেগুলো করতে পারবেন না। এ কারণে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার আগে আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আপনি কি আসলেই নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দেখতে চান কিনা?আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে আপনাকে অবশ্যই বুদ্ধিমানের মত প্ল্যান-পরিকল্পনা করে, দক্ষতার সাথে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় আশা করি ধারণা পাওয়া শুরু করেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সকলের জানার জন্য বর্ণনা করা হলো।ফ্রি মানে মুক্ত এবং লেন্সিং মানে পেশা অর্থাৎ ফ্রীলান্সিং মানে হল মুক্ত পেশা নির্ধারণ করা। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই আপনার একটি ভালো মানের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ লাগবে এবং তাতে ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত করতে হবে এবং একটি ভালো মানের এন্ড্রয়েড মোবাইল লাগবে।
ফ্রিল্যান্সিং হল অনলাইনের কাজ। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে এমন ভাবে দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে যেন আগামী ১০ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত আপনার কাজের মান ভালো থাকে এবং এই কাজের উপর নির্ভর করে আপনার আয়-রোজগার বাড়তেই থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং হল নিজের দক্ষতা এবং সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ইনকাম করা।ফ্রিল্যান্সিং হলো ক্লাইন্টের জন্য নিজেই কাজ করার একটা উপায়।এটি একটি মুক্ত পেশা হয়ে উঠেছে কারণ এটির কাজের সময় এবং স্থানের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন তা নিয়ে অনেকেই ভাবনা চিন্তায় পড়ে যান। শুরুতে কিছু কাজ রয়েছে যেমন পরিকল্পনা নির্ধারণ করা,দক্ষতা নির্ধারণ করা,প্রশিক্ষণ নেয়া,পোর্টফোলিও তৈরি করা,প্লাটফর্ম নির্বাচন করা, প্রোফাইল তৈরি,কাজের আবেদন করা,মূল্য নির্ধারণ করা ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে চলুন পদক্ষেপ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
- পরিকল্পনা নির্ধারণ করুনঃ যেকোনো কাজ শুরু করার আগে পরিকল্পনা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরে, পরিকল্পনা নির্ধারণ করে ,মনস্থির করতে হবে যে, আপনি এ কাজে পারদর্শী হওয়ার চেষ্টা করবেন। আগামীতে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ করে আপনি সফল হওয়ার স্বপ্ন তৈরি করুন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো স্কিল্ড ডেভেলপ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে হবে।
- দক্ষতা নির্ধারণ করুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করুন যে কাজগুলো পারেন সেটা নির্বাচন করুন।
- প্রশিক্ষণ নিনঃ আপনার নির্বাচিত কাজের উপর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিন।অনলাইন বা অফলাইন কোর্স এবং রিসোর্স উপলব্ধি করুন।
- পোর্টফোলিও তৈরি করুনঃ আপনার কাজের নমুনা বা পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এটি আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রমাণ হিসেবে থাকবে।এটি আপনার মূল্যায়নে সহযোগিতা করবে।
- ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে আপ- ওয়ার্ক, ফাইভার,ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর মত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। এছাড়াও গুরু এবং পিপল-পার-আওয়ার ও ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
- প্রোফাইল তৈরি করুনঃ আপনার প্রোফাইলে নিজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং পোর্টফোলিও সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিন।
- কাজের জন্য আবেদন করুনঃ আপনার পছন্দনীয় কাজগুলোর জন্য আবেদন করুন এবং ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করুন।
- কাজের মূল্য নির্ধারণ করুনঃ আপনার কাজের মূল্য নির্ধারণ করার জন্য আপনার দক্ষতা,অভিজ্ঞতা এবং বাজারের হার বিবেচনা করুন।
- উচ্চ মানের কাজ প্রদান করুনঃ আপনার ক্লায়েন্টদের সব সময় উচ্চমানের কাজ প্রদান করুন।প্রতিটি কাজ সময় মতো জমা দিন এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করুন।
- যোগাযোগ রক্ষা করুনঃ আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করুন এবং তাদের মতামত জানুন।
- নিজের প্রচার করুনঃ আপনার দক্ষতা এবং কাজের সম্পর্কে অন্যদের জানাতে থাকুন।সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমে নিজের প্রচার-প্রচারণা করুন।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় তা জানানোর জন্য আর্টিকেলের এই অংশে তথ্য দেয়া হয়েছে।ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন রকম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে।
এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা কিন্তু একই সাথে এটি একটি সম্ভাবনাময় পেশা। সঠিক পরিকল্পনা পরিশ্রম এবং ধৈর্যের মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে পারেন।আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে ও আপনার ক্যারিয়ারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী এবং আপনার পছন্দমত যে কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- আপওয়ার্কঃআপওয়ার্ক হল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম।
- ফাইভারঃফাইভার হলো অন্যতম আরেকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। আপনি এখানে আপনার দক্ষতার এবং সেবার বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
- ফ্রিল্যান্সার ডটকমঃ ফ্রিল্যান্সার ডটকম আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিভিন্ন রকমের কাজ পাওয়া যায়।
- গুরুঃ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আরেকটি প্লাটফর্ম হল গুরু। এটি একটি বিশেষায়িত প্ল্যাটফর্ম যা দ্বারা ফ্রিল্যান্সাররা উপকৃত হয়।
- পিপল-পার-আওয়ারঃ পিপল-পার -আওয়ার হলো জনপ্রিয় আরেকটি প্ল্যাটফর্ম। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি ঘন্টা ভিত্তিক কাজ করতে পারেন।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ
- ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃওয়েব ডেভেলপমেন্ট হল ওয়েবসাইট তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ।
- গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলো হলো লোগো, ব্যানার,পোস্টারসহ অন্যান্য ডিজাইন তৈরি করা।
- কন্টেন্ট রাইটিংঃকন্টেন্ট রাইটিং কাজের মধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইট,ব্লগ ও অন্যান্য মাধ্যমের জন্য লেখা তৈরি করা।
- ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,এসইও এবং অন্যান্য অনলাইন মার্কেটিং এর কাজ।
- ভিডিও এডিটিংঃ ভিডিও এডিটিং কাজের মধ্যে রয়েছে ভিডিও তৈরি ও সম্পাদনা করা।
- অনুবাদ করা বা ট্রান্সলেটঃ এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট করা বা অনুবাদ করার কাজ।
- প্রোগ্রামিংঃবিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষায় কোড লেখার কাজ।
- ডেটা এন্ট্রিঃডেটা এন্ট্রির কাজ হল ডেটা সংগ্রহ করা এবং এন্ট্রি করা।
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ হল অনলাইন ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করা।
ফ্রিল্যান্সিং টিপস
ফ্রিল্যান্সিং টিপস সম্পর্কে জানা জরুরী। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা খুব সহজ নাও হতে পারে। তবে কিছু টিপস এবং কৌশল অবলম্বন করে আপনি সফলকাম হতে পারেন। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ইনকাম করার মোক্ষম সময় এখনই।
ফ্রিল্যান্সিং হল নিজের দক্ষতা এবং সময় ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্লাইন্টের জন্য কাজ করার একটা উপায়।এটি একটি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় পেশা হয়ে উঠেছে। কারণ এটি কাজের সময় এবং অবস্থানের ক্ষেত্রে নমনীয়তা প্রদান করে। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা কঠিন হতে পারে। নিয়ম মেনে কাজ করলে তা সহজ হয়ে যায়।
ফ্রিল্যান্সিং টিপস গুলো নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
- ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে নিজের দক্ষতা এবং আগ্রহ সম্পর্কে চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ আপনি কোন কাজ করতে ভালো পারদর্শী এবং কোন কাজ করতে আপনি ভালোবাসেন তা নির্ধারণ করুন।
- আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম খুঁজুন। আপওয়ার্ক,ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর মতো অনেক জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এগুলোতে কাজ করে আপনি ভাল পারফরম্যান্স করতে পারবেন।
- একটি আকর্ষণীয় এবং পেশাদার ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল তৈরি করা আপনার সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং আগ্রহ সম্পর্কে লিখুন ও পূর্ববর্তী কাজের নমুনা অন্তর্ভুক্ত করুন। একটি ভাল প্রোফাইল আপনার প্রতি আস্থা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
- ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করার সময় সর্বদা পেশাদার এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন এবং তাদের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করুন। সময় মত কাজ জমা দেয়ার চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নিন।
- আপনার কাজের মূল্য নির্ধারণ করার সময় আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং বাজারের হার বিবেচনা করুন। খুব বেশি দাম না ধরার চেষ্টা করুন, যাতে আপনি প্রতিযোগিতামূলক থাকতে পারেন। তবে আপনার কাজের মূল্য কমও নির্ধারণ করবেন না। বেশি ও কম এর মাঝামাঝি দাম ধরবেন।
- ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের কাজগুলো খুঁজতে হলে কিছু টিপস জেনে নেয়া জরুরী।আপনার প্রোফাইলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ খুঁজুন।নতুন কাজ পোস্ট হওয়ার সাথে সাথেই আবেদন করুন।ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন এবং তাদের প্রয়োজন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।আপনার প্রস্তাবনাটি আকর্ষণীয় ভাবে বর্ণনা করুন।
- আপনার কাজের গুণগত মান বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময় মত কাজ জমা দিন এবং আপনার ক্লায়েন্টদের দেয়া নির্দেশনা অনুসরণ করুন। প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নিন এবং আপনার কাজকে উন্নত করার চেষ্টা করুন।
- ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা অর্থ সঠিকভাবে পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আয়ের একটি অংশ সঞ্চয় করুন এবং আপনার ব্যবসার জন্য পুনরায় বিনিয়োগ করুন।
- ফ্রিল্যান্সিং করার সময় কিছু আইনগত বিষয় সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।আপনার দেশের কর আইন এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে নিন।
অন্যান্য টিপস
অন্যান্য টিপস গুলো সম্পর্কে জানানো হলো- ধৈর্য ধরুন এবং হাল ছাড়বেন না। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাফল্য পেতে সময় লাগে। নিজের প্রচার করুন। আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অন্যদের জানান। একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করুন।
অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং তাদের কাছ থেকে শিখুন।নতুন দক্ষতা অর্জন করতে থাকুন। ফ্রিল্যান্সিং জগতে টিকে থাকার জন্য নতুন দক্ষতা অর্জন করা জরুরী।কাজের চাপ সামলাতে শিখুন,ফ্রিল্যান্সিংয়ে একাধিক কাজ একসাথে আসতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা
ফ্রিল্যান্সিং একটি চ্যালেঞ্জিং এবং একই সাথে একটি লাভজনক ক্যারিয়ার হতে পারে সঠিক পরিকল্পনা কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাপয়সার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সফল হতে পারেন। এই আর্টিকেলে দেয়া টিপসগুলি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে এবং আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। এগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- সময় এবং স্থানের স্বাধীনতাঃ ফ্রি-ল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কাজের স্থান এবং কাজের সময় এর স্বাধীনতা আপনি নিজের সুবিধা মত কাজ করতে পারেন এবং যেকোন স্থান থেকে কাজ করতে পারেন।
- আয়-উপার্জনঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর আয়-উপার্জন নির্ভরশীল।যত বেশি দক্ষ হবেন এবং পরিশ্রমী হবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।এখানে উপার্জনের নির্দিষ্ট কোন সীমা থাকে না।
- কাজের সুযোগঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের সুযোগ রয়েছে অনেক বেশি।আপনি স্বাচ্ছন্দে আপনার পছন্দের এবং দক্ষতামূলক কাজ বেছে নিতে পারেন।
- নিজের বসঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ে কারো অধীনে আপনাকে কাজ করতে হবে না।আপনি নিজেই এখানে নিজের বস হিসেবে কাজ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা
মনে রাখবেন অনলাইনে কাজ গুলো কোনটা কঠিন আবার কোনটা সহজ। আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। অনলাইনের কোন কাজ ১৫-২০ মিনিটে হয়ে যায়,আবার কোন কাজ করতে কয়েকদিন সময় লাগে সুতরাং ধৈর্যের কোন বিকল্প নেই।এই সেক্টরে কাজ করে সফলতা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তবেই আপনি সফলকাম হবেন।- অনিশ্চিত আয়-উপার্জনঃফ্রি-ল্যান্সিংয়ে আয়-উপার্জন সব সময় নিশ্চিত হয় না।ক্লায়েন্টের অভাব বা কাজের সমস্যার কারণে আয়ের তারতম্য হতে পারে।
- কাজের সন্ধানঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সঠিক ভাবে কাজ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন কাজ। কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে নিয়মিতভাবে নতুন ক্লায়েন্টদের সন্ধান করতেই থাকতে হবে।
- সময় ব্যবস্থাপনাঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সময় ব্যবস্থাপনা করা অত্যন্ত জরুরী।আপনাকে সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে কাজ পরিচালনা করতে হবে।
- যোগাযোগঃ ফ্রিল্যান্সিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ক্লায়েন্টদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ রাখা।
ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা
- অনিশ্চিত আয়ঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের আয় সব সময় নিশ্চিত হয় না। অনেক সময় ক্লায়েন্টের অভাব দেখা দেয় বা কাজের সমস্যার কারণে আয়ের তারতম্য হতে পারে।
- কাজের সন্ধানঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ে সঠিক কাজের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়। আপনাকে নিয়মিত ভাবে নতুন ক্লায়েন্টদের সন্ধান করতে থাকতে হবে।
- সময় ব্যবস্থাপনাঃফ্রিল্যান্সিংয়ের সময় ব্যবস্থাপনা করা অত্যন্ত জরুরী আপনাকে সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে কাজ পরিচালনায় করতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনার অভাবে আয় শংকট দেখা দেয়।
- যোগাযোগ রাখাঃ ফ্রিল্যান্সিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ক্লায়েন্টদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলা। তা না হলে আয়ের অসুবিধা হবে।
লেখকের শেষ কথা
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ফ্রিল্যান্সিংএর সুবিধা-আসুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন নিশ্চয়ই। ফ্রিল্যান্সিং শিখে,ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আপনারা উপকৃত হলে আমার স্বার্থকতা।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে শর্টকাট রাস্তা বলতে কিছু নেই,আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি যেমন সময় দিবেন, যেমন পরিশ্রম করবেন ঠিক তেমন অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যত বেশি শ্রম দিবেন তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করলে অসুবিধা দূর হবে এবং ভালোভাবে উপার্জন করা সম্ভব হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url