রমজানের ৩০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন
রমজানের ৩০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য
গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাস ৩০ দিনের হয়। অনেকের মতে রমজানের প্রথম ১০ দিন
রহমতের,মাঝের দশ দিন মাগফিরাতের এবং শেষ দশ দিন নাজাতের।
রমজানের ফজিলত সম্পর্কে জেনে আমল করে যেন আপনি উপকৃত হতে পারেন তার লক্ষ্যেআমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। তাই এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে নিতে পারলে আপনার উপকার হবে আশাকরি।.
রমজানের ৩০ দিনের ফজিলত
রমজানের ৩০ দিনের ফজিলত অনেক।রমজানের ফজিলত সম্পর্কে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াব লাভের আশায় রমজান মাসের সিয়াম পালন করবে তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় শবে কদরের সারারাত ইবাদতে কাটাবে তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে।সহিহ বুখারি ও মুসলিম শরীফের হাদিস থেকে সংগৃহীত।
রমজান মাসে জাহান্নামের দরজাগুলি বন্ধ করে দেয়া হয় এবং একজন ফেরেশতা ঘোষণা দেন
যে হে কল্যাণকামী অগ্রসর হও, হে অকল্যাণকামী নিবৃত হও, আর এই মাসের প্রতি রাতে
আল্লাহ অসংখ্য জাহান্নামীকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দান করেন।(সুনানে ইবনে মাজাহ
শরীফ-১৬৪২)
রমজানের ৩ দশকের প্রচলিত হাদিস সহিহ কিনা
রমজানের ৩ দশকের প্রচলিত হাদিস সহিহ কিনা এই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রচলিত হাদিস থেকে আমরা জেনে আসছি যে,রমজানের ১ম দশক রহমতের,২য় দশক মাগফিরাতের
এবং ৩য় দশক নাজাতের। রমজানের ৩০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেল
পড়ুন।
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে,নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, প্রতিটি
ইফতারের সময় এবং রমজানের প্রতিটি রাতে পাপী লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া
হয়। (ইবনে মাজাহ শরীফ, হাদিস নাম্বার- ১৬৪২)
এ হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে রমজানের প্রতিটি দিন ও রাত বরকতময়। আর রমজানের এই
বরকতময় দিনগুলো ও রাতগুলোতে আল্লাহর মাগফিরাত লাভ করা যায় এবং মাগফিরাত লাভের
ফলশ্রুতিতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাত লাভ করা যায়। আল্লাহর রহমতের
মাঝে থাকলে মাগফিরাত লাভ করা যায় এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত পাওয়া যায়।
মুসলিম শরীফের হাদিস থেকে বর্ণিত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত আল্লাহর
রাসূল(সাঃ) বলেন যখন রমজান মাস আসে তখন রহমতের দরজা গুলো খুলে দেয়া হয়।(সহিহ
মুসলিম-২৩৮৬)
সুতরাং রমজান মাসকে তিন দশকে বিভক্ত করার অন্যান্য সহি হাদিসের সাথে
সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় আল্লাহর দেয়া রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতকে একে অপর থেকে
বিচ্ছিন্ন করা যায় না এবং এটি যুক্তিসঙ্গত নয়। আল্লাহ তায়ালা কোন বান্দাকে
ক্ষমা করলে তবেই তিনি জাহান্নাম থেকে নাজাত দিবেন আর কোন বান্দা নাজাত পেলে তবেই
রহমত পাবে এবং তার জীবন সফল হবে।
তাই রমজানের পুরো মাস জুড়েই আল্লাহর রহমতের,মাগফিরাতের এবং নাজাতের সুযোগ
রয়েছে।আল্লাহ তায়ালার অসীম দয়া। আল্লাহর গুণবাচক নাম রয়েছে ইয়া রহমানু অর্থাৎ
আল্লাহ দয়াময়। তাই কাউকে তিনি শুধু রহমত দিবেন অথচ মাগফিরাত দিবেন না, আবার
শুধু মাগফিরাত দিবেন অথচ নাজাত দিবেন না অথবা কাউকে রহমত থেকে বঞ্চিত করবেন এমন
ভাবাটাই ভুল।
এমনটা তিনি কখনোই করবেন না। আল্লাহ যার উপর রহমত করেন তাকে তিনি মাগফিরাত দিবেন
অর্থাৎ ক্ষমা করবেন এবং তাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দিবেন এটা ভাবাটাই যৌক্তিক এবং
সঠিক।
এই আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে,পুরো রমজান মাস জুড়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে
রহমত বরকত ও নাজাতের সুসংবাদ দেয়া হয়ে থাকে। তাই আমরা রমজানের ৩০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানবো এবং আমরা পুরো রমজান মাস জুড়েই
বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করবো আল্লাহর রহমত, বরকত ও নাজাতের আশায় ইনশাআল্লাহ্।
রমজানের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
রমজানের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত রয়েছে। রমজানের ৩০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে এখানে প্রসিদ্ধ কিছু কুরআনের
আয়াতের অর্থ উল্লেখ করা হলো-
রোজা রাখলে মানুষ শরীরের পাপ ও গুনাহগুলো থেকে পরিশুদ্ধ হয়। সূরা আল বাকারা-১৮৩রোজা রাখলে আল্লাহর নিকট্য ও দয়া লাভ করা যায়। সূরা বাকারা ১৮৬
হে মুমিনগণ,তোমাদেরকে রোজার (সিয়ামের) বিধান দেয়া হলো,যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের দেয়া হয়েছিল,যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। সূরা বাকারা ১৮৩
রোজা নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তোমাদের মধ্যে যে কেউ অসুস্থ হলে অথবা সফররত
থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করবে। যাদের জন্য রোজা রাখা খুব কষ্টদায়ক
হয়,তাদের কর্তব্য হলো এর পরিবর্তে ফিদিয়া দেয়া- একজন অভাবীলোক কে খাদ্য দান
করা। কেউ যদি স্বেচ্ছায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎ কাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক
কল্যাণকর হবে আর সিয়াম পালন করায় তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা তা বুঝতে।
(সূরা বাকারা-১৮৪)
রমজান মাস এ মাসেই মানুষের জন্য আলোর দিশা এবং সৎপথের স্পর্শ স্পষ্ট নিদর্শন
স্বরূপ ও সত্যও অসত্যের পার্থক্যকারী রূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের
মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এ মাসে রোজা রাখে এবং অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে
থাকলে অন্য সময় এর সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ সেটাই চান এবং
যা তোমাদের জন্য সহজ নয় তা চান না, এজন্য যে তোমাদের সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং
তোমাদের সৎ পথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে
তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো। সুরা বাকারা-১৮৫
রোজার রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদেরকে বৈধ করে দেয়া হয়েছে। তারা তোমাদের
জন্য এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাক স্বরূপ। আল্লাহ জানেন যে তোমরা তোমাদের নিজেদের
সাথে খিয়ানত করেছিলে,অতঃপর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা
করেছেন সুতরাং এখন তোমরা তাদের জন্য সংগত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা নির্ধারণ
করে রেখেছেন (অর্থাৎ সন্তান) সেটি অন্বেষণ করো। (সুরা বাকারা-১৮৬)
রমজানের রোজার ফজিলত সম্পর্কে আরবি হাদিস
রমজানের রোজার ফজিলত সম্পর্কে আরবি হাদিস রয়েছে অসংখ্য। রমজানের রোজার ফজিলত
সম্পর্কে কিছু আরবি হাদিস নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে কেয়ামতের দিন এই দরজা দিয়ে কেবল
রোজাদাররাই প্রবেশ করবে বুখারী ১৮৯৬
যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখবে তার পূর্ববর্তী
পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে বুখারী ২০১৪
অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে প্রতি ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যাক্তিকে
জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। ইবনে মাজাহ ১৬৪৩
রোজাদার ব্যক্তির জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে (এক) যখন সে ইফতার করে এবং(দুই) যখন
সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করে। বুখারী ১৯০৪
কোন ব্যক্তি রোজা রাখলে আত্মবিশ্বাস ও মনোবল বেড়ে যায়। সহিহ বুখারী ১৯০৩
রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস- আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি
বলেন নবী করীম সাঃ বলেছেন,যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের প্রত্যাশায় রমজানের রোজা
রাখে তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহীহ বুখারী- ০৩৮ সহীহ
মুসলিম-৭৬০)
মাহে রমজানের শিক্ষা ও আমল
মাহে রমজানের শিক্ষা ও আমল গুলো জেনে নিই। মাহে রমজানের শিক্ষা হল রমজান আমাদের
সংগ্রামী হওয়া শেখায়। মানুষ জন্য প্রবৃত্তির দাস হয়ে না পড়ে অর্থাৎ নিজের
উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে না ফেলে। সংযমী হয়ে চলতে হবে এবং ক্ষুধার্ত মানুষের
দুঃখ কষ্ট যেন বুঝতে পারা যায় এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাদেরকে
সাহায্য করা যায়,রমজান আমাদের এই শিক্ষা দেয়। মাহে রমজানের আমলগুলোর মধ্যে এই
দোয়াগুলো বেশি বেশি পাঠ করতে হবে। দোয়াগুলো নিচে দেয়া হলোঃ
- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
- আল্লাহু আকবার, আস্তাগফিরুল্লাহ।
- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
- লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়া।
- রব্বির হামহুমা কামা রব্বা ইয়ানী সগির।
- লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জলিমিন।
- আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল জান্নাতা ওয়া আউজুবিকা মিনান্নার।
- সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।
- রমজান মাসে রোজা অবস্থায় বেশি বেশি এই দোয়া পড়বেনঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল মালিকুল হাক্কুল মুবিন।
রমজানের রোজা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে
রমজানের রোজা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে তা জেনে নিই। আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত
রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয়
না অর্থাৎ তাদের দোয়া আল্লাহ তায়ালার দরবারে কবুল করা হয়। ন্যায়পরায়ণ
শাসকের দোয়া, রোজাদার ব্যক্তির দোয়া (ইফতারের সময় পর্যন্ত),মজলুম বা
নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া।সুনানে নাসায়ী-২৫৩০
রমজানের রোজা মোমেনের জন্য ঢালস্বরূপ। শয়তান রোজাদার ব্যক্তিকে ধোকা দিতে পারে
না, ফলে মুমিন ব্যক্তির জান্নাত লাভ সহজ হয়ে যায়।
রমজানের রোজার উদ্দেশ্য কি
রমজানের রোজার উদ্দেশ্য কি তা জানা জরুরি। রমজানের রোজার উদ্দেশ্য অনেক গুলো।
রমজানের রোজার প্রধান উদ্দেশ্য গুলো হলোঃ
- আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করা
- তাকওয়া অর্জন করা
- বেহেশত লাভের আশায়
- গুনাহ থেকে ক্ষমা পাবার জন্য
- গুনাহ থেকে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য
- শেষ বিচারের দিন রোজার সুপারিশ পাবার জন্য
- আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাবার আশায়
- আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অসীম দয়া কে অনুভব করা
- ভালো কাজে ইচ্ছা শক্তি ও সংকল্প বাড়ানো
- ভালো কাজের সওয়াব অর্জন
- আরো সৎ হওয়ার চেষ্টা
- নিজে চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষাগুলো কে কমিয়ে ফেলা
- শয়তানের রাস্তা সংকীর্ণ করে দেয়া
- রোজা মমিনদের জন্য ঢাল স্বরূপ তাই ঢাল বানানোর জন্য
- মিথ্যে থেকে নিজেকে বিরত রাখা
রমজানের রোজা রাখার প্রতিদান
রমজানের রোজা রাখার প্রতিদান কি রয়েছে তা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রমজানের রোজা
রাখার প্রতিদান সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। এখানে সকলকে বুঝানোর জন্য কিছু
হাদিস নিচে বর্ণনা করা হয়েছে।
- হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,বনি আদম যত নেক আমল করে তার সওয়াবকে আল্লাহতায়ালা প্রথমে ১০ গুন বৃদ্ধি করেন এরূপ বৃদ্ধি করতে করতে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেন কিন্তু রোজা ব্যতিত,কারণ আল্লাহ রোজার প্রতিদান নিজেই দিবেন,কতগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।
- রোজার প্রতিদান সম্পর্কে বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদিস রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আদম সন্তানের সব আমল তার নিজের জন্য কিন্তু রোজা বিশেষভাবে আমার জন্য (আল্লাহর জন্য) এবং আমি নিজে ( আল্লাহ তায়ালা নিজে) এর প্রতিদান দেবো। (বুখারী-১৯০৪, মুসলিম- ১১৫১)
- শাহল ইবনে সাদ রাঃ হতে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেছেন জান্নাতে একটি দরজা আছে যার নাম রাইয়ান কেয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে কেবলমাত্র রোজাদার ব্যক্তিরাই প্রবেশ করবে। অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। অতঃপর রোজাদারগণ যখন প্রবেশ করবে তারপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে।ফলে কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।সহীহ মুসলিম হাদিস নম্বর ১১৫১
রমজানের প্রথম রাতের ঘোষণা
রমজানের প্রথম রাতের ঘোষণা গুলো সম্পর্কে জানলে রমজানের ৩০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। রমজানের প্রথম রাতে আসমানে যে ঘোষণা দেওয়া হয় তা উল্লেখ করা হলোঃ- প্রথম ঘোষণা হলো, দুষ্টু জিন ও শয়তানদের বন্দি করা হয়, যেন তারা মুমিন বান্দার অন্তরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করতে না পারে।
- দ্বিতীয় ঘোষণা হলো,জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং জান্নাতের সমস্ত দরজা গুলো খুলে দেয়া হয়।
- তৃতীয় ঘোষণা হলো, আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষণাকারী ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন যে, হে কল্যাণ প্রত্যাশী! অগ্রসর হও।
- চতুর্থ ঘোষণা হলো, আল্লাহ তায়ালা এ মাসের প্রতি রাতে অনেক জাহান্নামীকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন।
লেখকের মন্তব্যঃরমজানের ৩০ দিনের ফজিলত
রমজানের ৩০ দিনের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পেশ করা হয়েছে। রমজান মাস
সিয়াম সাধনার মাস। এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করে নেকি অর্জনের চেষ্টা করা সব
মুমিনের ঈমানী দায়িত্ব। মানুষের কল্যাণের আশায় আমার এই লেখনি প্রচেষ্টা
অব্যাহত রইলো। সকলের জন্য শুভ কামনা রইলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url